ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য এই কমিউনিটি একটি পারিবারিক ঠিকানা। এখানে আমরা একে অপরকে সহায়তা করি, তথ্য আদান–প্রদান করি এবং একসাথে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখি।

১. ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa – DL)

  • ব্যবহার: পর্যটন, ছুটি কাটানো, পরিবার/বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য।

  • মেয়াদ: সাধারণত ১ মাস বা ৩ মাস, সিঙ্গেল এন্ট্রি বা মাল্টিপল এন্ট্রি।

  • কী করা যাবে:

    • ঘুরে বেড়ানো, দর্শনীয় স্থান দেখা।

    • হোটেলে থাকা, ট্যুরে অংশ নেওয়া।

  • কী করা যাবে না:

    • চাকরি করা, ব্যবসা করা।

    • পড়াশোনা করা বা কাজের জন্য মিটিংয়ে অংশ নেওয়া।


২. বিজনেস ভিসা (Business Visa – DN)

  • ব্যবহার: ব্যবসায়িক মিটিং, কনফারেন্স, অফিসিয়াল কাজের জন্য।

  • মেয়াদ: ১ থেকে ১২ মাস, সিঙ্গেল বা মাল্টিপল এন্ট্রি।

  • কী করা যাবে:

    • ব্যবসায়িক মিটিং, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ।

    • কোম্পানির সাথে চুক্তি করা বা ব্যবসা পর্যবেক্ষণ।

  • কী করা যাবে না:

    • সরাসরি চাকরিতে যোগ দেওয়া (ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া)।

    • পর্যটন ভিসার বাইরে কাজ করা।


৩. ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa – LD)

  • ব্যবহার: ভিয়েতনামে চাকরির জন্য।

  • মেয়াদ: সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত।

  • কী করা যাবে:

    • অফিসিয়ালভাবে চাকরি করা (ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে)।

  • কী করা যাবে না:

    • অন্য চাকরি করা যদি সেটি অনুমোদিত না হয়।

    • পর্যটন ভিসায় কাজ শুরু করা (এটি বেআইনি)।


৪. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa – DH)

  • ব্যবহার: ভিয়েতনামে পড়াশোনার জন্য।

  • কী করা যাবে:

    • বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করা।

    • ছাত্র সংগঠন বা একাডেমিক ইভেন্টে অংশ নেওয়া।

  • কী করা যাবে না:

    • ফুল-টাইম কাজ করা (পার্ট-টাইমের জন্য আলাদা অনুমতি লাগতে পারে)।

    • ভিসা ভেঙে বাইরে গিয়ে চাকরি করা।


৫. ডিপ্লোম্যাটিক/অফিসিয়াল ভিসা (NG, LV)

  • ব্যবহার: সরকারী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত বা আন্তর্জাতিক সংগঠনের জন্য।

  • কী করা যাবে:

    • অফিসিয়াল ডিউটি পালন।

    • ইভেন্টে অংশগ্রহণ।

  • কী করা যাবে না:

    • ব্যক্তিগত ব্যবসা বা চাকরি করা।


৬. ট্রানজিট ভিসা (Transit Visa – TT)

  • ব্যবহার: অন্য দেশে যাওয়ার পথে ভিয়েতনাম দিয়ে ট্রানজিট।

  • কী করা যাবে:

    • বিমানবন্দর ছেড়ে শহরে ছোট্ট ভ্রমণ (যদি অনুমতি থাকে)।

  • কী করা যাবে না:

    • ট্রানজিট সময়ের বাইরে থাকা।

    • চাকরি বা ব্যবসা করা।


৭. ই-ভিসা (E-Visa)

  • ব্যবহার: দ্রুত অনলাইনে ভিসা পেতে।

  • মেয়াদ: ৩০ দিন, সিঙ্গেল এন্ট্রি।

  • কী করা যাবে:

    • পর্যটন বা ছোট ব্যবসায়িক মিটিং।

  • কী করা যাবে না:

    • চাকরি বা দীর্ঘমেয়াদি থাকা।


🛑 কী কী এড়িয়ে চলা উচিত (যে ভিসাই হোক না কেন)

  • ভিসার সময়সীমা অতিক্রম করে থাকা (ওভারস্টে করলে জরিমানা হতে পারে)।

  • ভুল তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন করা।

  • অনুমতি ছাড়া চাকরি বা ব্যবসা শুরু করা।

  • আইন ভঙ্গ বা অপরাধমূলক কাজে জড়িত হওয়া।