১. ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa – DL)
ব্যবহার: পর্যটন, ছুটি কাটানো, পরিবার/বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য।
মেয়াদ: সাধারণত ১ মাস বা ৩ মাস, সিঙ্গেল এন্ট্রি বা মাল্টিপল এন্ট্রি।
✅ কী করা যাবে:
ঘুরে বেড়ানো, দর্শনীয় স্থান দেখা।
হোটেলে থাকা, ট্যুরে অংশ নেওয়া।
❌ কী করা যাবে না:
চাকরি করা, ব্যবসা করা।
পড়াশোনা করা বা কাজের জন্য মিটিংয়ে অংশ নেওয়া।
২. বিজনেস ভিসা (Business Visa – DN)
ব্যবহার: ব্যবসায়িক মিটিং, কনফারেন্স, অফিসিয়াল কাজের জন্য।
মেয়াদ: ১ থেকে ১২ মাস, সিঙ্গেল বা মাল্টিপল এন্ট্রি।
✅ কী করা যাবে:
ব্যবসায়িক মিটিং, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ।
কোম্পানির সাথে চুক্তি করা বা ব্যবসা পর্যবেক্ষণ।
❌ কী করা যাবে না:
সরাসরি চাকরিতে যোগ দেওয়া (ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া)।
পর্যটন ভিসার বাইরে কাজ করা।
৩. ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa – LD)
ব্যবহার: ভিয়েতনামে চাকরির জন্য।
মেয়াদ: সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত।
✅ কী করা যাবে:
অফিসিয়ালভাবে চাকরি করা (ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে)।
❌ কী করা যাবে না:
অন্য চাকরি করা যদি সেটি অনুমোদিত না হয়।
পর্যটন ভিসায় কাজ শুরু করা (এটি বেআইনি)।
৪. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa – DH)
ব্যবহার: ভিয়েতনামে পড়াশোনার জন্য।
✅ কী করা যাবে:
বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করা।
ছাত্র সংগঠন বা একাডেমিক ইভেন্টে অংশ নেওয়া।
❌ কী করা যাবে না:
ফুল-টাইম কাজ করা (পার্ট-টাইমের জন্য আলাদা অনুমতি লাগতে পারে)।
ভিসা ভেঙে বাইরে গিয়ে চাকরি করা।
৫. ডিপ্লোম্যাটিক/অফিসিয়াল ভিসা (NG, LV)
ব্যবহার: সরকারী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত বা আন্তর্জাতিক সংগঠনের জন্য।
✅ কী করা যাবে:
অফিসিয়াল ডিউটি পালন।
ইভেন্টে অংশগ্রহণ।
❌ কী করা যাবে না:
ব্যক্তিগত ব্যবসা বা চাকরি করা।
৬. ট্রানজিট ভিসা (Transit Visa – TT)
ব্যবহার: অন্য দেশে যাওয়ার পথে ভিয়েতনাম দিয়ে ট্রানজিট।
✅ কী করা যাবে:
বিমানবন্দর ছেড়ে শহরে ছোট্ট ভ্রমণ (যদি অনুমতি থাকে)।
❌ কী করা যাবে না:
ট্রানজিট সময়ের বাইরে থাকা।
চাকরি বা ব্যবসা করা।
৭. ই-ভিসা (E-Visa)
ব্যবহার: দ্রুত অনলাইনে ভিসা পেতে।
মেয়াদ: ৩০ দিন, সিঙ্গেল এন্ট্রি।
✅ কী করা যাবে:
পর্যটন বা ছোট ব্যবসায়িক মিটিং।
❌ কী করা যাবে না:
চাকরি বা দীর্ঘমেয়াদি থাকা।
🛑 কী কী এড়িয়ে চলা উচিত (যে ভিসাই হোক না কেন)
ভিসার সময়সীমা অতিক্রম করে থাকা (ওভারস্টে করলে জরিমানা হতে পারে)।
ভুল তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন করা।
অনুমতি ছাড়া চাকরি বা ব্যবসা শুরু করা।
আইন ভঙ্গ বা অপরাধমূলক কাজে জড়িত হওয়া।

